ALRD

Press Release

Home Knowledge Press Release

IMG

‘‘নারীর ভূমি অধিকার, কৃষিতে অংশগ্রহণ এবং নারীর নিরাপত্তা’’ শীর্ষক সেমিনার
১৩ মার্চ ২০১৯ 
বরাবর
বার্তা সম্পাদক/ প্রধান প্রতিবেদক
সকল দৈনিক/সাপ্তাহিক/টিভি চ্যানেল ও বেতার
প্রেস বিজ্ঞপ্তি
উন্নয়নের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ বৈষম্য 
উন্নয়নের ভিত মজবুত করতে হলে সমাজ থেকে বৈষম্য দূর করতে হবে। বৈষম্য কমিয়ে নারীর জন্য সমঅধিকার প্রতিষ্ঠা করা না গেলে উন্নয়ন তরান্বিত হবে না। রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে আয়োজিত সেমিনারে আজ নারীর ক্ষমতায়ন প্রতিষ্ঠায় বৈষম্য দূর করতে পিতৃতান্ত্রিক সমাজ কাঠামো পরিবর্তনের দাবি করা হয়।
আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন উপলক্ষে ‘‘নারীর ভূমি অধিকার, কৃষিতে অংশগ্রহণ এবং নারীর নিরাপত্তা’’ শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করে এএলআরডি। 
নারীর ভূমি অধিকার প্রতিষ্ঠায় ভূমি সংস্কার অধ্যাদেশ- ১৯৮৪ তে নারীর অন্তর্ভূক্তি যোগ করার জন্য এর সংশোধন করতে হবে বলে সেমিনারে বক্তারা দাবি জানান। একই সাথে বক্তারা খাসজমি বিতরণ ও বন্দোবস্ত নীতিমালার প্রয়োজনীয় সংস্কার এবং নারীর নিরাপত্তার জন্য সর্বস্তরে নারীবান্ধব সুশাসন প্রতিষ্ঠার কথাও বলেছেন। 
নারী অধিকার কর্মী খুশী কবি-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এএলআরডি’র উপ-নির্বাহী পরিচালক রওশন জাহান মনি। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান জনাব রাশেদ খান মেনন এম. পি.। আলোনায় অংশ নেন বিশিষ্ট সাংবাদিক আবু সাঈদ খান; উন্নয়ন কর্মী এবং এএলআরডির নির্বাহী কমিটির কোষাধ্যক্ষ আফজালুন্নেসা চৌধুরী; এবং এএলআরডি’র নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত তৃণমূলের সংগঠিত নারীদের মধ্যে রাঙ্গামাটির নারী হেডম্যান চম্পা চাকমা, ফরিদপুরের নারী কৃষক মনোয়ারা বেগম, নাটোরের নারী কৃষি শ্রমিক লিপি ওরাঁও, পটুয়াখালীর মাকসুদা বেগম, মধুপুর থেকে সুইটি রিসিল, প্রমুখ তাদের মজুরী বৈষম্য, বঞ্চনা ও দাবির কথা তুলে ধরে বক্তব্য রেখেছেন। 
মূল প্রবন্ধে উল্লেখ করা হয়েছে যে কৃষিনির্ভর বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনীতি ক্রমেই সেবা ও শিল্প খাতের ওপর নির্ভরশীল হচ্ছে। অন্যদিকে, দূর্বল হচ্ছে কৃষিখাত। বর্তমানে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপির ৫২ দশমিক ১ শতাংশ আসে সেবা খাত থেকে, শিল্প খাত থেকে আসে ৩৩ দশমিক ৭ শতাংশ আর কৃষি খাত থেকে আসছে মাত্র ১৪ দশমিক ২ শতাংশ (বাংলাদেশ শ্রমশক্তি জরিপ: ২০১৬-১৭)। অর্থনীতিতে কৃষির অবদান কমে এলেও সর্বোচ্চ জনশক্তি নিয়োজিত আছে কৃষি খাতে। বর্তমানে কৃষিতে নিয়োজিত আছে জনশক্তি ৪০.৬ শতাংশ। ভূমি ও কৃষির বানিজ্যিকিকরণ হচ্ছে; ভূমি দখল হয়ে যাচ্ছে। নগদ অর্থের হাতছানিতে কৃষি থেকে পুরুষের সম্পৃক্ততা কমে যাচ্ছে। পুরুষের অবর্তমানে দূর্বল এই কৃষি খাতে নারীদের সম্পৃক্ততা দ্রুত হারে বাড়ছে। গত ৭ বছরে কৃষিখাতে নারীর অংশগ্রহণ ৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। কৃষিখাতের ২১ ধরনের কাজের মধ্যে ১৭টিতে নারীর সক্রিয় অংশগ্রহণ রয়েছে। কৃষিতে নারীর সর্বাধিক অবদান থাকা সত্ত্বেও ভূমিতে নারীর মালিকানা; প্রবেশাধিকার; ও নিয়ন্ত্রণ নেই। ভূমি মালিকানা ও কৃষিতে স্বীকৃতি না থাকার কারণে নারী প্রয়োজনীয় ঋণ ও অন্যন্য কৃষিসেবা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে। এমনকি বাজারব্যবস্থায়ও তার অংশগ্রহণ নেই।
সাংবাদিক আবু সাঈদ খান বলেন, সমাজ ও রাষ্ট্র ব্যবস্থার কারণে নারীরা এখনও কৃষক হয়ে উঠতে পারেনি। নারীকে কৃষক হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে। কৃষি ঋনের ক্ষেত্রে নারীকে অগ্রাধিকার দিয়ে বিশেষ কোটা ব্যবস্থা করতে উদ্যোগ নিতে হবে। অ-কৃষি খাতে কৃষিজমির ব্যবহার রোধ করতে ভূমি ব্যবহার নীতিমালা প্রনয়ণ করতে হবে।
প্রধান অতিথি রাশেদ খান মেনন এম.পি বলেছেন, উন্ন্য়ন সূচকে আমরা এগিয়ে আছি। প্রবৃদ্ধি এখন ৭.৮৬ শতাংশ। কিন্তু সেই সাথে বৈষম্যও বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৫-১৬সালের পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যের বরাত দিয়ে তিনি বলেন ধনী ও দরিদ্রের মধ্যে বৈষম্যের ব্যবধান ১ শত ২১ গুন বেড়েছে। ভূমি সংস্কার অধ্যাদেশ ১৯৮৪ তে নারীর অন্তর্ভূক্তি যুক্ত করতে হবে। তাছাড়া, অঞ্চলভিত্তিক বৈষম্যও বৃদ্ধি পেয়েছে আগের চেয়ে অনেক বেশি। যদিও সংবিধানে সমতা ও সাম্যের কথা বলা আছে। শিশু ও নারী ধর্ষণ ও হত্যার প্রবণতা সংখ্যায় অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। সকল নারী সংগঠনকে একত্রিত হয়ে নিরাপত্তা সহ নারীর সকল অধিকার প্রতিষ্ঠায় শক্তিশালী আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
শামসুল হুদা বলেন, কৃষির আবিষ্কারক নারীর জন্য আইন তৈরি করে হলেও কৃষি ঋণের ব্যবস্থা করতে হবে। শুধু প্রবৃদ্ধি দিয়ে উন্নয়নের আসল চেহারা বোঝা যায় না। বৈষম্য চিহ্নিত করে তা দূর করতে হবে। তৃণমূল থেকে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত নারীর অধিকার ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠায় সোচ্চার হতে হবে।
সভাপতি খুশি কবির বলেছেন, কৃষি, ভূমির বাণিজ্যিকিকরণের কারণে আমাদের খাদ্য সার্বভৌমত্ব আজ হেরে গেছে। নারীর ক্ষমতায়নের জন্য পিতৃতান্ত্রিক সমাজ কাঠামোর পরিবর্তন আনতে হবে। ভূমি সংস্কার ও খাসজমি নীতিমালা সংশোধনের জন্য সকলকে এক টেবিলে বসতে হবে।
 
বার্তা প্রেরক:-

Solving the Problem

IMG

No single issue can be solved in isolation, and genuine transformation can only be made by advancing these entwined aspects together. You can’t tackle malnutrition without looking at agriculture, food manufacturing, public health systems and education. You can’t save a rainforest from destruction unless you have a strong rule of law to prevent malfeasance by irresponsible companies or are in a position to find alternative livelihoods for those who are dependent on unsustainable use of the rainforest for their survival.